প্রতিটি প্রকৃতকোষী জীবেই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে যা ঐ জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রজাতির ক্ষেত্রে ক্রোমোজোম সংখ্যা সবসময় নির্দিষ্ট থাকে। এই ক্রোমোজোম সংখ্যা উদ্ভিদ বা প্রাণীর ফাইলোজেনী ও ট্যাক্সোনোমিক অবস্থান নির্ণয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর এই বিভিন্নতার মূলেই রয়েছে ক্রোমোজোম সংখ্যা। পূর্ণাঙ্গ সেট ক্রোমোজোমের উপস্থিতিকে ইউপ্লয়ডি বলা হয়। জনন কোষে স্বাভাবিকভাবে একসেট ক্রোমোজোম থাকে যাকে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যা বা গ্যামেটিক সংখ্যা (n) রূপে চিহ্নিত করা হয়। দেহ কোষে সাধারণত দু’সেট বা ডিপ্লয়েড সংখ্যক (2n) ক্রোমোজোম থাকে। দুইয়ের অধিক সেট থাকলে তাকে পলিপ্লয়েডি বলা হয়।
ক্রোমোজোম সংখ্যাঃ
সর্বনিম্ন ক্রোমোজোমবিশিষ্ট জীবের মধ্যে ফিতা কৃমির (Ascaris univalens) নাম উল্লেখযোগ্য। এদের হ্যাপ্লয়েড ক্রোমোজোম সংখ্যা ১ (n = 1)। উদ্ভিদের মধ্যে Spirogyra, Haplopappus gracillus, Ustilago ইত্যাদির হ্যাপ্লয়েড ক্রোমোজোম সংখ্যা ২ (n = 2)। উদ্ভিদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রোমোজোম পাওয়া গেছে Ophioglossum নামক টেরিডোফাইটায় (2n = 1260)। প্রাণীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রোমোজোম পাওয়া গেছে Olecantha sp. এ (2n = 1600)।