জেনে নিন! কীভাবে পোষক কোষে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে?

উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কোনো পোষক উদ্ভিদ দেহে প্রবেশের ক্ষেত্রে উদ্ভিদে যে সকল ছিদ্র পথ আছে (যেমন- পত্ররন্ধ্র, লেন্টিসেল) সেসব পথে অথবা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট পথে (যেমন-আঘাত হতে ক্ষত) প্রবেশ করে। ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ কোষে প্রবেশের পর ব্যাকটেরিয়া দুটি কোষের মাঝখানে ফাঁকা স্থানে অবস্থান করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে কোষ প্রাচীর ছিদ্র করে কোষেল অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং কোষের ক্ষতি সাধন করে থাকে। পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়ার আশেপাশের কোষেও প্রবেশ এবং ক্ষতি সাধন করতে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ দেহে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত জৈব রাসায়নিক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। যথাঃ-

  • উদ্ভিদের কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান হচ্ছে পেকটিন যৌগসমূহ। এসব বিগলনের জন্য ব্যাকটেরিয়া পেকটিন এনজাইম নিঃসরণ করে ফলে পেকটিন এনজাইম বিস্তৃত হয়ে যায়। ফলে টিস্যুতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
  • উদ্ভিদ কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান হচ্ছে সেলুলোজ। একে বিগলনকারী এনজাইম যার নাম হচ্ছে সেলুলেজ এনজাইম। সেলুলেজ এনজাইম ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করে যা কোষ প্রাচীর ভাঙতে সহায়তা করে এবং সেলুলোজকে গ্লুকোজে পরিণত করে।
  • হেমিসেলুলোজহ উদ্ভিদ কোষ প্রাচীরের আর একটি উপাদান যা ভাঙতে ব্যাকটেরিয়া হেমিসেলুলেজ এনজাইম উৎপন্ন করে।
  • লিগনিন কোষ প্রাচীরের অন্যতম উপাদান। ব্যাকটেরিয়া লিগনেজ এনজাইম উৎপন্ন করে লিগনিন বিগলন করে।
  • ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর টক্সিন ও ক্ষতিকর এসিড উৎপন্ন করে যা উদ্ভিদের শরীরবৃত্তীয় কাজে বাধা প্রদান করে।
  • ব্যাকটেরিয়া কখন কখন এমন সব পদার্থ উৎপন্ন করে যা উদ্ভিদের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Clicky