মধুঃ মধু সামান্য হলুদ বা বাদামি রং এর ঘন তরল পদার্থ। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ১৩। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টির অধিক বিভিন্ন জৈব ও অজৈব অতি দরকারি উপাদান দ্বারা মধু সমৃদ্ধ। মানুষসহ সকল উন্নত প্রাণীর জন্য এ মূল্যবান তরলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি একটি বলবৃদ্ধিকারক খাদ্য। বিভিন্ন খাদ্যমান ও উপাদান বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে থাকে।
প্রতিদিন মধু খেলে আপনার শরীরের যে সকল চাহিদা পূরণ হবেঃ
(ক) মধুর বিভিন্ন উপাদান এর শতকরা হারঃ
উপাদান | শতকরা পরিমাণ(%) |
শর্করা | ৭৯.৫৯ |
ফ্রুক্টোজ | ৩৮.১৯ |
গ্লুকোজ | ৩১.২৮ |
সুক্রোজ | ১.৩১ |
ম্যালটোজ | ৭.৩১ |
অন্যান্য শর্করা | ১.৫০ |
(খ) বিভিন্ন প্রকার জৈব অম্ল উপাদানঃ ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড।
(গ) বিভিন্ন আয়নঃ Na+, X+, Ca2+, SO42-, PO43- ইত্যাদি।
(ঘ) বিভিন্ন এনজাইমঃ ডায়াটেজ, ইভারটেজ, স্যাক্রেজ, ক্যাটালেজ, পারক্রিডেজ এবং লাইগেজ।
(ঙ) ভিটামিনঃ ভিটামিন-B, ভিটামিন-C, ভিটামিন-E, ভিটামিন-K, ভিটামিন-B2, B3, B4, B5, B6, ইত্যাদি।
(চ) বিভিন্ন পুষ্টিকর দ্রব্যাদিঃ আমিষ, হরমোন, অ্যান্টিবডি ইত্যাদি।
(ছ) রঞ্জক-ক্যারোটিন, সুগন্ধী-(তারপিনিজ, অ্যালডিহাইড, এস্টার) অ্যালকোহলিক শর্করাঃ (মনিটল, জলস্টিল)।
(ছ) এছাড়াও বিভিন্ন জৈব উদ্দীপকঃ যেমন- বায়োমাস।
দৈনন্দিন জীবনে যেসব কাজে মধু ব্যবহার করবেনঃ
মধু একটি প্রাকৃতিক ও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তরল পদার্থ। দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহার-
- ঔষধ হিসেবে মধু বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ঘা, বৃক্কের পাথর নিরাময়ে, চোখের কর্ণিয়ার অস্বচ্ছতা, বিভিন্ন চর্মরোগ, রক্ত পরিশোধক হিসেবে, প্লীহার বৃদ্ধি রোধে, হুপিং কাশিতে, হাঁপানীতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ ইত্যাদি বহুরোগে নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে মধুর সকল ব্যবহার প্রতিদিন চলে আসছে।
- শক্তি ও বলবর্ধক হিসেবে মধু অতুলনীয় উত্তম খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
- বিভিন্ন মিষ্টান্ন প্রস্তুতিতে মধু সহজেই ব্যবহার করা যায়।
- বিভিন্ন তরল খাদ্যপ্রস্তুত করতে যেমন- সিরাপ, শরবত, চা, কফি, কোমল পানীয় তৈরিতে মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
- প্রসাধনী সামগ্রী প্রস্তুতিতে যেমন মুখের ক্রিম, লোশন, লিপিষ্টিক, সাবান ইত্যাদি প্রস্তুতকালে মধু ব্যবহার করা হয়।