সাইটোজেনেটিক্স কী? এর কার্যক্ষেত্রগুলো সম্বন্ধে আলোচনা।

Scope of Cytogenetics:

Cytology ও Genetics-এর সমন্বয়ে Cytogenetics-এর উৎপত্তির পিছনে সবচেয়ে যে বড় সাফল্য তা হলো Chromosome theory of inheritance.

Chromosome-এর প্রকৃতি এর রাসায়নিক ও ভৌত গঠন, সংখ্যা ও গঠনের যেকোনো রকমের পরিবর্তন, বংশগতি ও বিবর্তনে এসব পরিবর্তনের প্রভাব প্রভৃতি সাইটোজেনেটিক্স গবেষণার বিষয়বস্তু।

আমরা Cytogenetics-এর জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা পেতে পারি।

নিম্নে Cytogenetics-এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • Plant Breeding: Plant breeding-এর ক্ষেত্রে Cytogenetics সাফল্যের সাথে প্রয়োগ করা যায়। যেমন-Golden Rice সৃষ্টি। ড্যাফোডিল ফুল থেকে ভিটামিন-A ও আয়রন সংশ্লেষণকারী জিন ধান গাছে স্থানান্তর করে গোল্ডেন রাইস তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত BR-২৮ ও BR-২৯ ধান জাতে এই বৈশিষ্ট্য স্থানান্তর করে গোল্ডেন রাইস তৈরি করা হয়। এ ধানগুলো ভিটামিন-A ও আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং Golden Rice তৈরিতে Cytogenetics-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
  • অপরাধী সনাক্তকরণ: Cytogenetics-এর প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো Chromosome-এর গঠন, কাজ, পরিবর্তন ইত্যাদি। Chromosome-এর গঠনের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলো DNA-আর বর্তমানে DNA ফিংগার প্রিন্ট-এর সাহায্যে অপরাধী সনাক্তকরণ সন্তানের পিতৃত্ব নির্ণয়, হত্যাকারীসহ বিভিন্ন অপরাধী সনাক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে Cytogenetics-এর জ্ঞান তথা DNA-এর গঠন, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি কাজে লাগানো হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এভাবে DNA ফিংগার প্রিন্ট তথা Cytogenetics-এর জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ ও মানব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
  • পরিব্যক্তিতে সাইটোজেনেটিক্স: আয়নিক রশ্মির পীড়নে ক্রোমোজোমের গাঠনিক পরিবর্তন এবং লঘু কলচিসিন দ্রবণের প্রয়োগে ক্রোমোজোমের সংখ্যাগত পরিবর্তন বা পলিপ্লয়ডি উৎপাদন করা হয়। সুতরাং ক্রোমোজোমের অপেরণ সাইটোজেনেটিক্সের অন্যতম বিষয়। তাই সাইটোজেনেটিক্স হতে পরিব্যক্তিতে সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
  • বিবর্তনে সাইটোজেনেটিক্স: কৃত্রিম সংকরায়নের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ নতুন গণ Raphano brassica উদ্ভাবন এবং জিনোম সংশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে একদিকে উন্নত তর আবাদী উদ্ভিদ ও গৃহপালিত প্রাণীর প্রজননের তাগিদ এবং অপরদিকে এদের স্থানীয় ও বন্য জাতের উৎপত্তি ও বিবর্তনে সাইটোজেনেটিক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • Biotechnology-তে সাইটোজেনেটিক্স: কৃত্রিম আবাদ মাধ্যমে মানব কোষ আবাদ পদ্ধতি আবিষ্কার ও প্রয়োগ, মানব ক্রোমোজোম আংশিক রঞ্জন ও ব্যান্ডিং পদ্ধতির প্রবর্তন, মানবসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্রোমোজোমের সূক্ষ্ম গঠন ও প্রাণীর সৃষ্টি ইত্যাদি সবই সাইটোজেনেটিক্সের জ্ঞানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি প্লাজমিড থেকে প্রকৃত ক্রোমোজোম হচ্ছে সাইটোজেনেটিক্সের পরিসর। আর চিরায়ত থেকে আণবিক সাইটোজেনেটিক্স হচ্ছে এর বিভিন্ন শাখা।
  • Taxonomy-তে সাইটোজেনেটিক্স: বর্তমানে ক্রোমোজোম সম্পর্কীয় জ্ঞান Taxonomy-তে প্রয়োগ করা হয় ফলে Taxonomy-র একটি নতুন শাখা Biosystematics গড়ে উঠেছে, যা শুধুমাত্র Cytogenetics ও Taxonomy-র সংকরের ফলে হয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Clicky