এডিস মশাবাহিত আর্থোপোডা জন্মানো এক ধরনের অর্বোভাইরাস রোগ হলো ডেঙ্গু জ্বর। এডিস মশার কামড়ের ফলে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে যা যা করণীয়ঃ
(ক) ব্যক্তিগত পর্যায়ঃ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা হলো-
- ঘুমানোর সময় বিশেষত বিকেল ও রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।
- মশকীর দংশন প্রতিরোধকল্পে গায়ে ও পরার কাপড়ে মশক নিবারক ক্রিমের ব্যবহার কিংবা প্রয়োজনে লম্বা হাতওয়ালা শার্ট ও ফুলপ্যান্টসহ মোজা পরিধান করতে হবে।
- বাড়ি-ঘরে মশার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণকল্পে বাড়ির সব জানালা, ভেন্টিলেটর মশা অনভিগম্য জালক বা স্ক্রিণের ব্যবহার করতে হবে।
(খ) কমিউনিটি পর্যায়ঃ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কমিউনিটি পর্যায়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো-
- গৃহস্থালির আশপাশে পড়ে থাকা পানি জমার বিভিন্ন আধার যেমন- টিনের ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার, অব্যবহৃত পানির পাত্র, সেপটিক ট্যাঙ্ক, এয়ারকুলার প্রভৃতিতে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- বাড়ির আশপাশের ময়লা-আবর্জনা দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
- প্রয়োজনে পানির ট্যাঙ্ক, হাউজ কিংবা ম্যানহোলের গর্তগুলো উপযুক্ত মশক অনভিগম্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যাতে পানির আধারের পানিগুলো এডিস মশা বংশবিস্তারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।
- ফুলের টব বা অন্যকোনো পাত্রে পানি যাতে তিন দিনের বেশি সময় জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- বাড়ির আশপাশের ঝোপ-জাড় ও জঙ্গল নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে।
(গ) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ঃ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো-
- মশা দমনের জন্য নিয়মিতভাবে ব্যাপক হারে মশকনাশক বিভিন্ন কীটনাশক যেমন-ডিডিটি, পারমেথ্রিন প্রভৃতি ছিটাতে হবে।
- মশার লার্ভা দমনে বাড়ির আশপাশের মজা পুকুর-ডোবায় বিভিন্ন কীটনাশক যেমন-কেরোসিন, পেরিসগ্রিন প্রভৃতি দেয়া যেতে পারে।
- পুকুর ও ডোবাগুলো মশার লার্ভা ভক্ষণকারী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া যেতে পারে।
- সরকারী ও বেসরকারীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গণসচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে।