কবুতরের দুধঃ প্রজননকালে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় পায়রারই ক্রপের ‘এপিথেলিয়াল’ কোষগুলো হতে এক প্রকার প্রোটিন জাতীয় পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়ে থাকে। এটিকে “পায়রার দুধ” বলে।
এ দুধ নমনীয় পনির এর ন্যায় এবং বাচ্চাকে পুষ্টি দানকারী ক্ষরণ। এটি জননকালে বাচ্চাকে খাওয়ানেরার সময় ক্ষরিত হয়। এটি ক্রপের এপিথেলিয়াল কোষ সীমার ক্ষয় হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এ দুধ ক্রপে জমাকৃত খাদ্য দানাসহ উগরে বাচ্চা কবুতরকে খাওয়ায়। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা নিজে নিজে খাদ্য আহরণ করতে না পারে, ততদিন পিতা-মাতা বাচ্চাকে দুধসহ অন্যান্য খাদ্য খাওয়ায়।
হরমোন এর কার্যকারিতাঃ মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড দ্বারা ক্ষরিত প্রোল্যাকটিন হরমোন কবুতরে দুধ তৈরি উদ্দীপিত ও নিয়ন্ত্রণ করে।
উপাদানঃ কবুতরের দুধে পানি, চর্বি, ক্যাসিন জাতীয় আমিষ ও ল্যাকটোজ থাকে। পুরুষ ও স্ত্রী কবুতর উভয়ের ক্রপ থেকে দুধ উৎপন্ন হয়। এ দুধে পানি ৬৫-৮১%, ক্যাসিন জাতীয় আমিষ ১৩.৩-১৮.৮ % থাকে।