আমাদের দেহে আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। এর ঘাটতি বা অভাব দেখা দিলে নানা রকম অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। শরীরের গঠনেও নানা বৈচিত্র্য দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমিজ জাতীয় খাবার রাখা উচিত।
জীবদেহে প্রোটিন বা আমিষ জৈবিককার্য সম্পাদন ও কাঠামো গঠনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিম্নে প্রোটিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রোটোপ্লাজমকে বলা হয় জীবনের ভৌত আধার। অন্যদিকে প্রোটোপ্লাজমের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক উপাদান হলো প্রোটিন।
- খাদ্যের প্রোটিন দৈহিক প্রোটিন নির্মাণের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।
- অনেক প্রোটিন এনজাইম হিসেবে কাজ করে। যা সজীব কোষের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে থাকে।
- প্রোটিন দেহে পানি, অক্সিজেন, খনিজ লবণ ও অন্যান্য জৈব যৌগ পরিবহন করে থাকে।
- হরমোন জাতীয় প্রোটিন দেহের নির্দিষ্ট প্রাণ রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- নিউক্লিও প্রোটিন বাংশানুগতিক পর্যায়ে বংশানুক্রমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে।
- ফাইব্রাস প্রোটিন জীবদেহের কলার গঠনে অংশগ্রহণ করে।
- ইন্টারফেরন নামক এক প্রকার কোষীয় প্রোটিন প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রোগজীবাণুর আক্রমণের প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।
- রক্ত প্লাজমার প্রোটিন মারাত্মক ক্ষত এবং অপারেশনের সময় আঘাত নিরাময়ে সহায়তা করে থাকে।
- এন্টিবডি প্রোটিন দেহের ভিতরে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।
- ভাইরাস প্রোটিন দেহের ভিতরে রোগের বিস্তার রোধ করে।
- হরমোন জাতীয় প্রোটিন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৃদ্ধি ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- প্রোটিন জীবদেহে সঞ্চিত খাদ্য হিসেবে থাকে।